আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি ঘরে রান্না হয় তাহলে সেই গন্ধ অতি সহজেই আমাদের নাকে আসে। সেখান থেকে দেখতে হলে আমরা সেই রান্নার একটি ধারণা পেয়ে যাই। একইভাবে যদি কেউ ছুরি নিয়ে তেড়ে আসে তাহলে সেখান পালিয়ে যাওয়ার কথা আগেই মাথায় চলে আসে।


আসলে আমাদের ব্রেন আগে থেকেই বুঝে নেয় কোন জিনিসটি তার সঙ্গে ঘটতে চলেছে। সেই মতো সে নিজের পরবর্তী কাজটি করে নেয়। ফলে সেখান থেকে কোনও কাজের পরেই বাকি কাজটি অতি সহজে স্থির করে নেয় সে। 


ব্রেনের এই কাজকে বলা হয় অ্যাকশন অবজার্ভেশন নেটওয়ার্ক। এটি সেই সময় থেকে চলতে শুরু করে যখন মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নেয়। প্রতিটি কাজ মানুষের ব্রেনের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেখান থেকে নিজের নেটওয়ার্ক অনুসারে সে কাজ করতে থাকে। এবিষয়ে গবেষকরা মনে করেন ব্রেন সেই কাজকে আগে থেকেই ভেবে নেয় তা তাকে পরবর্তীকালে করতে হবে। সেইমতো নিজের পরবর্তী কাজের নির্দেশ সে দেহকে পাঠিয়ে দেয়। সেটি যেকোনও কাজই হতে পারে।


এই কাজে ব্রেনকে সাহায্য করে আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়। তারা প্রতিটি সময়ের হিসেব ব্রেনের কাছে পৌঁছে দেয়। ফলে নিজের হিসেবে ব্রেন কাজ করতে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে ব্রেন কাজ করে বলে এই শক্তি তাকে দেহের মধ্যে সবথেকে উন্নত করেছে। 


যেটা আমরা ভবিষ্যতে দেখতে চাই সেটা ব্রেন আগে থেকেই ধারণা করে নেয়। এমনকি মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে তখন তার ব্রেন তার কোষে থাকা বিভিন্ন ছবিকে সামনে নিয়ে আসে। আসলে তখন ব্রেনের একটি অংশ ঘুমিয়ে থাকলেও অন্য দিকটি জেগে থাকে। ফলে সেখান থেকে সে নিজেকে ব্যস্ত থাকে। একজন মানুষের ব্রেন কখনও সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে পড়ে না। যদি সেটা হত তাহলে মানুষ বহু আগেই মারা যেত। তখন দেহের আর কোনও কাজ হত না। দেহটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যেত।